পাথরের নিচে তরল পানির আধার নিশ্চিত করেছেন নাসার বিজ্ঞানী; প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস)
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল মাঙ্গা মঙ্গল গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব অনুসন্ধানে অন্যতম গবেষক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহের ভূত্বকের প্রায় ৬ থেকে ১২ মাইল গভীরে তরল পানির আধার রয়েছে।’
পিএনএএসের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৮ সালে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহের ভূপৃষ্ঠে ইনসাইট ল্যান্ডার প্রবেশ করে। এ ল্যান্ডারের সিসমোমিটারের সাহায্যে মঙ্গলগ্রহের ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়। এ কম্পনের মধ্য দিয়ে গত চার বছরে মঙ্গল গ্রহের গতি এবং অভ্যন্তরে তরল পানির অস্তিত্ব রয়েছে কিনা তা জানা যায়।
ইনসাইট ল্যান্ডারের সাহায্যে এই প্রথম মঙ্গলগ্রহের পাথুরে ভূপৃষ্ঠের বাইরের ভূত্বকের গভীরে তরল পানির অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও এর আগেই মঙ্গল গ্রহের মেরু অঞ্চলে এবং বায়ুমণ্ডলে পানির অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে তা তরল অবস্থায় না। বরং তা বরফ এবং বাষ্পাকারে রয়েছে। আর তরল পানি ছাড়া কোনো স্থানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, এ অনুসন্ধানটি বিজ্ঞানীদের মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের এক ধাপ এগিয়ে নিবে। কারণ, যেহেতু তরল পানির সন্ধান পাওয়া গেছে, তাই ভূগর্ভে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে আশা করা যায়।
তবে মানুষ যে মঙ্গলে বসবাস করার আশা করছে, তা এখনও সম্ভব না। কারণ, মঙ্গলের পাথুরে মাটি পৃথিবীর মতো সহজেই খনন করে যায় না। তাই এ গ্রহটি এখনও মানুষের বসবাস উপযোগী না বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মাইকেল মাঙ্গা।