বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনের শিল্পীরা ফিরেছে সস্থিতে
মুখ খুলতে শুরু করেছেন বিনোদন অঙ্গনের শিল্পীরা। বিগত দিনগুলো কীভাবে পার করতে হয়েছে সেই ফিরিস্তি দিতে গিয়ে কেউ ফেলছেন দীর্ঘশ্বাস, কেউ ফেলছেন চোখের জল। সেই দলে আছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। যার গান ছাড়া ঢালিউডে সিনেমা হতো না, সেই শিল্পীকেও অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে গান গাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের নানা ঘটনা স্পর্শ করেছে শিল্পী কনকচাঁপাকে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। তার সরকারের সময় যাদের দমিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের।
সংগীত শিল্পী কনকচাঁপাও যুক্ত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে। ফলে তিনিও ছিলেন এ তালিকাভুক্ত। সরকার পতনের পর মুখ খুললেন এ গায়িকা। জানালেন সাত বছর ধরে বোবা করে রাখা হয়েছিল তাকে।
শেখ হাসিনা সরকারের কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি বিগত সাতটি বছর বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছি, তাতে মোটেই ভেঙে পরিনি। আমি সবসময় হাসিখুশি থেকেছি। কখনও কাঁদিনি। কখনো হতাশ হইনি। যত সমস্যা এসেছে, কারও কাছে অভিযোগও করিনি।
এরপর বলেন, আমাকে সাত বছর বোবা করে রাখা হয়েছে, যা বর্ণনাতীত। আমি কোনো কিছু লিখতে পারতাম না। শুধু তাই নয়, আমি গান গাইতেও পারিনি। একজন শিল্পী যদি গান গাইতে না পারে, তার বোবা হয়ে যাওয়াই ভালো। কিন্তু আমি এতকিছুর পরও আশা হারাইনি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতেই ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন কনকচাঁপা। ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে গেল ১৭ জুলাই এক ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘আমি সবসময়ই ন্যায়ের পক্ষে। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলা, নিপীড়ন, রক্তপাত বন্ধ হোক। স্বাধীন বাংলাদেশে সম-অধিকার নিশ্চিত হোক।’