ঋতুর রানি বলা হয় শরৎকালকে। কেননা এই ঋতুতে প্রকৃতি সাজে বাহারি রঙে। নদীর দুই পারে থাকে সাদা কাশফুলের মেলা। এ ছাড়া আরও কিছু ফুল ফোটে শরতে। বাহারি সেসব ফুলে প্রকৃতি হয়ে ওঠে ফুলের রাজ্য। বাড়ি কিংবা আঙিনায় ঘুরে বেড়ায় ফুলের সুবাস।
কাশ ফুল
শরতের প্রধান ফুল কাশ। এ ফুল দেখলেই বুঝতে পারি শরৎ এসে গেছে। এটি শরতের আগমনের প্রতীক। কাশ তৃণ বা ঘাসজাতীয় গাছ। কাশের সাদা ও রুপালি ফুল ফোটে।
জবা ফুল
জবাফুল সারাবছর ফুটলেও ফোটার সময় মূলত শরৎকাল। লাল টকটকে ফুলটি দেখতে আকর্ষণীয়। গোল ডিম্বাকার লাল রঙের ফুলের পাপড়ির মাঝে লম্বা একটি দণ্ড। আর মাথায় ফুলের রেণু।
বকুল ফুল
ফুলের রাজ্যে নান্দনিক হচ্ছে বকুল। এটি মিষ্টি ঘ্রাণের ফুল। নানা আয়োজনে বকুল ফুলের মালা জরুরি। ফুলগুলো ছোট হওয়ায় তারার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
শিউলি ফুল
শরতের রাতে ফোটা শিউলি ঝরে পড়ে ভোরে। শেষরাতে শিউলির সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। ছোট এই ফুলের রং সাদা। কিছুটা জুঁই ফুলের মতো। বাসন্তী রঙের বোঁটা ফুলের মাঝখানে। একে শেফালি নামেও ডাকা হয়।
দোলনচাঁপা
শরতের বাতাসে দোল খায় দোলনচাঁপা। স্নিগ্ধ আর সাদা রেশমি চাদর গায়ে আসে দোলনচাঁপা। ফুলগুলো গুচ্ছ আকারে বের হয়। ফোটার পর দেখতে ভালো লাগে।