রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নোমান মহি উদ্দিন এ রায় দেন।
২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিসেট্রট আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।
জেলা জজ আদালতের পিপি (ভারপ্রাপ্ত) দেবব্রত চক্রবর্তী জানান, সূবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আসামি করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। মামলা আদালতে উপস্থাপন করা হলে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। তদন্ত শেষে পিবিআই রিপোর্ট জমা দিলে মামলাটি দায়রা জজ আদালতে চলে যায়। পরবর্তীতে এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানি জারি হয়।
বুধবার (২১ আগস্ট) মামলার বাদী চার জন সাক্ষী নিয়ে নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১নং আদালতের বিচারক নোমান মহিউদ্দিনের আদালতে হাজির হয়ে মামলা চালাতে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ সময় মামলার চার সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে অপারগতা জানান। পরে বিচারক মামলা খারিজ করে দিয়ে তারেক রহমানকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর দেবব্রত চক্রবর্তী। তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ।