বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধের সরকারি আদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির।
শিশির মনির বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে নিশ্চিত যেটুকু তথ্য আছে, আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই এই নিষেধাঙ্গা প্রত্যাহার হবে। আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য কাল মঙ্গলবার এই নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি ।’
সোমবার (২৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কোন প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে, এ বিষয়ে শিশির মনির বলেন, ‘গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই ক্ষমতাবলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার করবে।’
তিনি বলেন, ‘কেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলো, সেটা আমরা জানি না। মনে করছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদী এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসাবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
এই আইনজীবী বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গণ-আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ দলটির বিভিন্ন শাখার সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট দলটির নিবন্ধন বাতিল করেন।