বিমানবন্দরে টেলিফোন সেবা-হেল্পডেস্ক থাকলেও এতদিন তা কাজে আসেনি যাত্রীদের। এবার সেগুলো চালুর পাশাপাশি মিলছে ফ্রি ওয়াইফাইসহ নানা সুবিধা, দ্রুত লাগেজ ছাড় পেয়ে স্বস্তি জানাচ্ছেন প্রবাসীরা।
যাত্রী লাঞ্ছনা, লাগেজ কেটে চুরি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমসসহ পদে পদে হয়রানি। অব্যবস্থাপনা-অনিয়মই যেন হয়ে উঠেছিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিত্যদিনের স্বাভাবিক চিত্র। হয়রানির পরিবর্তে স্বস্তি। লাগেজ কাটা বা চুরি ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে সতর্কতা। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীসেবায় কোনো আপোষ হবে না।
তবে এবার পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে এখানেও। বদলেছে যাত্রী সেবা। হেল্প ডেস্কে দিনরাত কাজ করছেন ৫৪ জন কর্মী। বিনামূল্যে এক ঘণ্টা ওয়াইফাই সুবিধাও পাচ্ছেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দরে পৌঁছে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের ঝক্কি কমাতে চালু হয়েছে ১০টি টেলিফোন বুথ। কথা বলা যাচ্ছে বিনামূল্যে।
যাত্রীরা বলছেন, আগে বিমানবন্দরে নানাভাবে হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এবার হয়রানিমুক্ত সেবা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে তাদের কণ্ঠে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া হেল্প ডেস্ক, টেলিফোন বুথ আগে থাকলেও তা কার্যকর ছিল না। সেগুলো শতভাগ কার্যকরের পাশাপাশি প্রবাসীদেরকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব।
পুরো বিমান বন্দরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনায় লাগেজ কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনাও আর ঘটবে না বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।