রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান বলেছেন, “যা খুশি তা করাকে স্বাধীনতা বলে না। আইনের বাইরে, ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে, সামাজিক রীতিনীতির বাইরে যা খুশি তা করাকে স্বাধীনতা বলে না। স্বাধীনতার নামে বিশৃঙ্খলা করলে তা আইন ও সমাজের চোখে অপরাধী। সমাজে শান্তি রক্ষার্থে সকলকে যার যার জায়গায় কাজ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস চত্বরে পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত সামাজিক নিরাপত্তা ও সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সুধী সমাবেশ-এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, “অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার চলছে। কারও কাছে অস্ত্র থাকলে বা কারও কাছে তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। পরিত্যক্ত দেখিয়ে তা উদ্ধার দেখানো হবে।”
নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন এর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাটোর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম-লালপুর সার্কেল) শরীফ আল রাজীব, বড়াইগ্রাম আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফওয়ান, বড়াইগ্রাম সরকারি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. মো. আব্দুল কাদের, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহ সেক্রেটারি মাওলানা মো. আব্দুল হাকিম, পৌর বিএনপি’র আহŸায়ক অধ্যাপক এমএ লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহŸায়ক এবিএম ইকবাল হোসেন রাজু, সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফাদার পিউস গমেজ প্রমূখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খান, পুলিশ পরিদর্শক সরল মূর্মূ, বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম, হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (অ.দা) আলিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের উপজেলা সভাপতি অমর ডি কস্তা সহ পুলিশ কর্মকর্তা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সুধীবৃন্দ।