জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) আঙুলের ছাপের সমস্যায় ভুগছেন ৫ লাখের বেশি ভোটার।
এসব এনআইডির আঙুলের ছাপ একাধিক ভোটারের সঙ্গে মিলে যায় বলে জানা গেছে। যার ফলে এনআইডির মাধ্যমে সেবা নিতে যাওয়া জনসাধারণ নানান ভোগান্তিতে পড়ছেন। তবে এই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনআইডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় যারা ডাটা এন্ট্রি করেন, তারা বেশি ইনপুট দিলে বেশি টাকা পাবেন, সুবিধার কারণে তাড়াহুড়ো করেন। ইসির নির্দেশনা হচ্ছে আঙুলের ছাপ যেন কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নেওয়া হয়। কিন্তু তাড়াহুড়োর কারণে অনেকেরই ৬০ শতাংশের কম ছাপ নেওয়া হয়ে যায়। পরে এই ধরনের নাগরিকের আঙুলের ছাপ অন্যদের সঙ্গে মিলে যায়। ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে বিড়ম্বনায় পড়েন তারা।
এনআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, এমন ঘটনা কয়েক লাখ। এগুলো নিষ্পত্তি করতে অতিরিক্ত তথ্য প্রমাণ দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে নাগরিকের চেয়ে সংশ্লিষ্ট ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের দায় বেশি। কেননা ভোটার হওয়ার সময় আঙুলের ছাপ ভালো করে না নেওয়ার কারণেই পরবর্তী সময়ে এমন হয়।
কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ‘ম্যাচ ফাউন্ড’ এনআইডির সংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৩টি। আর এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিস্টেম ম্যানেজারসহ মাঠ কর্মকর্তাদের লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে ইসি সচিব শফিউল আজিম।
নির্দেশনায় তিনি বলেন, ম্যাচ ফাউন্ডের ক্ষেত্রে ব্যক্তি যদি দ্বিতীয়বার ভোটার না হয়ে থাকেন, (False ম্যাচ) সে সব আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন। কারিগরি অধিশাখা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। ম্যাচ ফাউন্ডের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি উপস্থিত হয়ে ফের আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে এনআইডির সঙ্গে তার আঙুলের ছাপের শতকরা হার বেশি হবে, সেটিই তার এনআইডি হিসেবে প্রমাণিত ধরা হয়।
এনআইডি সেবা নিয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, এখন আমরা এই সেবাটি শতভাগ নির্ভুল করার চেষ্টা করছি। এজন্য মাঠ কর্মকর্তাদের মনিটরিং করারও সিদ্ধান্তও হয়েছে।
দ্রুততার সঙ্গে এনআইডি সেবা দিতে আন্তরিকতার সঙ্গে সবাইকে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।