দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জুড়ীতে মৎস্য খাতে ৭ কোটি টাকার ও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাবে মৎস্য চাষীদের।
পাহাড়ি ঢল আর উজানের পানিতে প্রায় তিন মাস থেকে দুই ধাপে জুড়ী উপজেলার অনেক গুলো এলাকা প্লাবিত। হাকালুকি হাওর পারে হওয়ার কারনে কমবেশী প্রতিবছর বন্যায় প্লাবিত হয় নিমাঞ্চল।তবে এ বছর দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় উজানের বড় ফিসারি, পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়।
এতে করে পুকুর,ফিসারির সব মাছ ভেসে গেছে। স্বল্প মেয়াদি বন্যা হলে ফিসারি, পুকুরের মালিকরা জাল দিয়ে মাছ সংরক্ষণ করতে পারতেন তবে এ বছর বন্যা অনেক দিন স্থায়ী হওয়ার কারনে সংরক্ষণ করা অনেকের কাছে ব্যয় সাধ্য।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ১০৬ জন মৎস্য চাষীর ফিসারি ও পুকুর থেকে প্রায় বিশ লক্ষ সাত হাজার টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে।
এসব মালিকদের অবকাঠামোগত প্রায় বিয়াল্লিশ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।সব মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি ১২ লক্ষ ২১ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এ ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে কয়েকজন মৎস্য চাষী জানিয়েছেন।
মৎস্য চাষী ফয়াজ সরকার বলেন,আমার দুইটা ফিসারিতে প্রায় পাচঁ লক্ষ টাকার পোনা মাছ ফেলেছিলাম। বন্যার পানিতে বেশীর ভাগ মাছ ভেসে গেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক এসব মৎস্য চাষীদের মাঝে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে ৫৪ জনকে সর্বমোট ৫৪০ কেজি পোনামাছ বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপ পরিচালক মোঃ আশরাফুজ্জামান,জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো: আরিফ হোসেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধর, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়ে আমরা তালিকা করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের পাশে সরকার দাড়িয়েছে।