১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্মাণাধীন এ মেগা প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। প্রতিদিন জাদুঘরটিতে ৪ হাজার দর্শক পরিদর্শন করতে পারবেন।
মিসরের বিখ্যাত স্থাপনা পিরামিডের কাছে সুবৃহৎ ও ব্যয়বহুল জাদুঘরের দ্বার খুলেছে। বুধবার সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে ১২টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে।
গ্র্যান্ড ইজিপ্টিশিয়ান মিউজিয়াম নামের জাদুঘরটি পুরোপুরি খুলে দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। জাদুঘরে প্রাচীন বিশ্বের অনেক ঐতিহাসিক নির্দশন স্থান পেয়েছে।
১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্মাণাধীন এ মেগা প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। মিসরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের সহকারী তায়েব আব্বাস জানান, প্রতিদিন জাদুঘরটিতে ৪ হাজার দর্শক পরিদর্শন করতে পারবেন।
২০২২ সাল থেকে এটি সীমিত পরিসরে খোলা রাখার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা বার বার পিছিয়ে যায়।
এক লাখেরও বেশি প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে হতে যাচ্ছে এটি। আব্বাস বলেন, প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হলেও পরে পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে।
১২টি কক্ষের প্রদর্শনীতে প্রাচীন মিসরের সমাজ, ধর্ম ও মতবাদ সম্পর্কিত নানা প্রত্নবস্তু তুলে ধরা হয়েছে। সে সময়ের রাজবংশ ও ঐতিহাসিক সময়কাল ক্রমান্বয়ে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
নানা প্রত্নবস্তু স্থান পাওয়ায় জাদুঘরটি দর্শণার্থীদের কাছে হয়ে উঠেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব কক্ষ খুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটিতে ‘এলিট অব দ্য কিং’ মূর্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে।