দুই হাত ও এক পা নেই রাসেলের তবুও এক পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে কলম দিয়ে লিখে আলিম পাস করেন অদম্য প্রতিবন্ধী রাসেল। সিংড়া পৌর এলাকার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩ দশমিক ২৯ পেয়ে উর্ত্তীণ হয় সে।
আলিম পরিক্ষায় পাস করা অদম্য প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির। বুধবার দুপুরে তাকে শুভেচ্ছা প্রদান ও মিষ্টিমুখ করাতে তার বাসায় উপস্থিত হয়ে লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিংড়া উপজেলা সভাপতি ইমরান ফরহাদ, নাটোর জেলার সাবেক সভাপতি মীর মো. কুতুবুল আলম, উপজেলা অর্থ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, পৌর শিবিরের সভাপতি মো. আল-আমিনসহ নেতৃবৃন্দ।
পা দিয়ে লিখে আলিম পাস করার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দের নজরে আসলে তারা রাসেলের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা জানান।
দুই হাত ও এক পা নেই রাসেলের তবুও এক পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে কলম দিয়ে লিখে আলিম পাস করেন অদম্য প্রতিবন্ধী রাসেল। সিংড়া পৌর এলাকার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩ দশমিক ২৯ পেয়ে উর্ত্তীণ হয় সে।
রাসেল মৃধা শোলাকুড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে। রাসেল ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষাতেও সাফল্যের সাথে উর্ত্তীণ হয়।
পরিবারের অভাবের কারণে যাতে রাসেলের পড়াশোনা বন্ধ না হয় সেজন্য রাসেলের পড়াশোনার জন্য যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিংড়া উপজেলা শাখা।
এসময় আজীবন রাসেলের পাশে থেকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন সিংড়া উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইমরান ফরহাদ।