সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও, আইডিএলসি তার বার্ষিক আরওএ (ROA) ১.১৪% এবং আরওই (ROE) ৮.৬৫% বজায় রাখতে সক্ষম
আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকের কর পরবর্তী একত্রিত (কনসোলিডেটেড) নিট মুনাফা ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা রিপোর্ট করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫.৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। শেয়ার প্রতি আয়ও ২৫.৩০% বৃদ্ধি পেয়ে ৩.০২ টাকা হয়েছে।
এই নয় মাসে, গ্রাহকের আমানত ২০২৩ সালের তুলনায় ২.৩০% বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮,২৩২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গ্রুপটি কৌশলগতভাবে পোর্টফোলিওর মান উন্নত করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে, যাতে লোনের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায় এবং ঋণ স্থিতির আকার যথাযথভাবে নিশ্চিত করা যায়।
সেপ্টেম্বরের শেষে লোন পোর্টফোলিও ১১,১৬৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও, আইডিএলসি তার বার্ষিক আরওএ (ROA) ১.১৪% এবং আরওই (ROE) ৮.৬৫% বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে (যা গত বছরের একই সময়ে যথাক্রমে ০.৮৮% এবং ৭.২৯% ছিল)।
সেপ্টেম্বরের শেষে মন্দ ঋণ (এনপিএল) গত বছরের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৯৮% হয়েছে, যা আর্থিক খাতের গড়ের চেয়ে অনেক কম। এর পাশাপাশি ১০০.৭২% মন্দ ঋণ কভারেজ অনুপাত বজায় রেখেছে যা ভবিষ্যৎ ঋণ সংক্রান্ত লোকসান এর ঝুঁকি মোকাবেলায় গ্রুপটির সুদৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
আইডিএলসি-এর পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান – আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড এবং আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে খুবই শক্তিশালী ফলাফল প্রদর্শন করেছে, যা গ্রুপের ইতিবাচক ফলাফলে অবদান রেখেছে।
আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন তাদের আর্থিক ফলাফলের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং নানা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মাঝেও নয় মাসের এই ভালো আর্থিক ফলাফল আমাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা, সততা এবং সুশাসনেরই প্রতিফলন যা যুগের পর যুগের আমাদের আর্থিক সাফল্যের মূলমন্ত্র। যার ফলশ্রূতিতে আমাদের পরিচালন আয় ১১.৩২% বৃদ্ধি পেয়ে ৫২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা হয়েছে, যেখানে পরিচালন ব্যয় বেড়েছে মাত্র ২.১৮%।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের এই অগ্রগতি বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
জামাল উদ্দিন ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য মূল কৌশলের ব্যাপারে বলেন, “ভবিষ্যতে মুনাফা মার্জিন চাপে থাকা এবং প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ার সত্ত্বেও, আর্থিক প্রতিষ্ঠানদের ভবিষ্যত সাফল্য নির্ভর করবে তারা কীভাবে গ্রাহক সেবা, পোর্টফোলিও মান এবং পরিচালন দক্ষতা উন্নত করতে পারে তার উপর।
আইডিএলসি-তে আমরা এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের উদ্যোগগুলি ক্রমাগত উন্নত করছি এবং আশা করি যে এই উদ্যোগগুলি আগামী বছরগুলিতে প্রতিযোগিতার মধ্যেও আমাদের আলাদা করবে।”
তিনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে তাদের দিকনির্দেশনার জন্য এবং গ্রাহক ও অংশীদারদের কোম্পানির প্রতি তাদের অব্যাহত আস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।