প্রতিটি কর অঞ্চলে আলাদা সেবাকেন্দ্র চালু, রিটার্ন জমা ও রিটার্ন ফরম পূরণে তাৎক্ষণিক রিটার্ন জমাপ্রাপ্তি স্বীকারপত্রের আশ্বাস; এনবিআর
এবারও আয়কর মেলা হবে না। ফলে সাধারণ করদাতাদের কর মেলায় যাওয়ার ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। যদিও তাঁদের অনেকেই নভেম্বর মাস এলেই কর মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। কারণ, কর মেলায় গিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিলে তাঁদের কর কর্মকর্তারা হয়রানি করেন না।
করোনা শুরু হওয়ার পর, অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে আর কর মেলা হয়নি। এবার অবশ্য প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ক্ষমতায় নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা কর মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এবার ঘরে বসে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়াকেই বেশি উৎসাহ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, মেলার পরিবর্তে কর কার্যালয়ে রিটার্ন দেওয়ার সুবিধা দিতে নভেম্বর মাসজুড়ে সেবা মাস পালন করা হবে। এ ছাড়া সচিবালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে কর কর্মকর্তারা সহায়তা দিতে যাবেন। এমনকি সহায়তা দিতে স্বেচ্ছাসেবীও নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রতিটি কর অঞ্চলে করদাতাদের জন্য সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা দেওয়া হবে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও পাবেন করদাতারা।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি বিভাগীয় শহর, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়েও কর মেলা অনুষ্ঠিত হতো। এসব মেলায় করদাতাদের ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে রিটার্ন জমা দিতে দেখা গেছে।
আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সভা-সেমিনারসহ নানা আয়োজন থাকবে বলে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান।
কর কার্ড দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা
২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের কর কার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার কর কার্ড দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এনবিআরের আয়কর বিভাগ।
আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরলে তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করবেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তখনই কর কার্ড নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১৪১ জন সেরা করদাতাকে কর কার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হয়।