উক্ত বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ মীমাংসার জন্য বলিলে বিবাদীগণ কোন সমাধান করিতে রাজি হয় নাই।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর ৬ নং ওয়ার্ডের এক অসহায় পরিবারের উপরে হামলা ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
জানা যায় প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে ইসহাক আলী ও নুর মিয়া জমি খরিদ করে করে বসবাস করে আসছে , বর্তমান আরএস জরিপে তাদের নিজ নামে মাঠ ও প্রিন্ট ফরছা মতে রেকডি য় তপশীলঃ মৌজা-হোসেনাবাদ, জেএল নং-৭৫, খতিয়ান নং-৪১১, দাগ নং- ৭৫৪।
ইহাতে টিলাবাড়ী রকম ১৮ শতক ভূমির মালিক ও ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় শুক্রবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে উচ্ছেদ করে অসহায় পরিবারের নিজ জমি দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে বিবাদী রমজান আলীর ছেলে সায়াদ আলী (২৩) এর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন অভিনব কায়দায় তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
জমির মালিক বলেন, আমার পৈত্তিক সম্পত্তি সমূহ বিবাদীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ তপশীল বর্নিত ভূমি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারায় লিপ্ত রহিয়াছে। উক্ত বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ মীমাংসার জন্য বলিলে বিবাদীগণ কোন সমাধান করিতে রাজি হয় নাই।
বিবাদীগণ প্রায় সময়েই আমাদের উক্ত বিষয় নিয়া ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া থাকে।আমরা তপশীল বর্নিত ভূমিতে পুরাতন বসত ঘর মেরামতের জন্য মালামাল নিয়ে গেলে বিবাদীগণ হাতে লাঠিসোটা দা কুড়াল দেশি অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে আসিয়া ভূমি জোর পূর্বক দখল করার উদ্দেশ্যে আমাদের বসত ঘরের নির্মানের মালামাল এলোপাতারি ফেলে দিয়ে ভাংচুর করে।
আমাদেরকে বসত ঘরের কাজে বাধা প্রদান করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতির হুমকি ধামকি প্রদান করে। উক্ত বিষয়ে আমি আমার আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করিয়া এবং স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পরে আমি বাদী হয় জুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
কলাবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি,মোঃ আব্দুল বাছিত ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আখলিছ মিয়া বলেন রুমা পৈত্তিক সম্পত্তি সেখানে নতুন করে ঘর বানাচ্ছিলেন বিবাদীগণ এসে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন আমরা খবর পাই সেখানে গিয়ে ভাংচুরের সত্যতা পাই আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করে আমরা ব্যর্থ হই।
বিবাদী সায়েদ আলী বলেন,আমার তফশীল ৫ শতক ভূমির কিছু অংশে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন বাদীগণ এতে আমরা বাঁধা প্রদান করি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম ভূইয়া বলেন,এ বিষয়ে জুড়ী থানায় বাদী ও বিবাদীগণের তিনটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত দিন আছে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।