সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওই শিশু স্কুলছাত্রীকে প্রতিবেশী আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুর তার নিজ ডেকোরেটরের দোকানে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় দোকানের ভিতর শিশুটির কান্না শুনতে পেয়ে স্থানীয় একজন।
নাটোরের বড়াইগ্রামের ১১বছর বয়সী শিশু স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুর (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। এ মামলার অপর ৭ আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদানের আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাহাদুর উপজেলার গড়মাটি মধ্যপাড়া এলাকার মৃত এবাদ আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুলাই সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওই শিশু স্কুলছাত্রীকে প্রতিবেশী আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুর তার নিজ ডেকোরেটরের দোকানে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
এসময় দোকানের ভিতর শিশুটির কান্না শুনতে পেয়ে স্থানীয় একজন মোবাইল ফোনে শিশুটির বাবাকে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুর সহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. আব্দুর কাদের মিয়া জানান. দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৬ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং বাকী আসামীদের মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন। জরিমানার টাকা শিশুটির পরিবারকে প্রদানের আদেশ দেন আদালত।