টলটলিপাড়া জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গিয়ে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা নিয়ে আফসার হোসেন (৬৫) ও জব্বার আলী (৬০)এর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে ধাক্কাধাক্কি হয়।
নাটোরের বড়াইগ্রামে মসজিদের বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা নিয়ে দুই মুসল্লীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের কেচুয়াকোড়া টলটলি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ৫ জনকে প্রথমে বড়াইগ্রাম ও নাটোর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, টলটলিপাড়া জামে মসজিদে বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়তে গিয়ে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা নিয়ে আফসার হোসেন (৬৫) ও জব্বার আলী (৬০)এর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা দিকে জব্বার আলী ও তার পক্ষের ১০/১২ জন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আফসার হোসেনের লোকজনের উপর হামলা করে। এতে আহত হয় সাব্বির হোসেন (১৬), খাইরুল ইসলাম (৩২), বক্কার হোসেন (৫০), মিলন হোসেন (১৮) ও ইমাম হোসেন (৫০)।
পরে আফসার হোসেনের লোকজন জব্বার আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে এলে আহত হয় আরও ৩/৪ জন।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
গুরুতর আহত হোসেন আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসিইউ তে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, উভয় পক্ষ মামলার করার প্রস্তুতি নিয়েছে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।