নিহত সায়রা বেগম এর ২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে নাম বাহরাম আহমদ। এছাড়া সে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো আগামী ২৭ ডিসেম্বর ডেলিভারী হওয়ার কথা ছিল।
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সায়রা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে জুড়ী থানা পুলিশ।
সায়রার পিতার পরিবারের দাবি দীর্ঘ দিন থেকে তার মেয়েকে পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে আসছে। সায়রা বেগমের পরিবার বলে আমার মেয়ে তার দেবর, ননদ সহ পরিবারের লোকজন হত্যা করেছে। প্রবাভশালীদের চাপে মামলা থানায় না করে কোর্টে করছেন নিহতের মা রাবিয়া বেগম।
সরেজমিনে জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামে গেলে সায়রা বেগমের মা রাভিনা বেগম, শামীম খা, আব্দুস শহিদ, চাচী সালমা বেগম খালা লাইলি বেগম মামী জাহানারা বেগম,চাচী মুন্নি বেগম জানান গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আমির হোসেন এর মেয়ে সায়রা বেগম ৪ বছর পূর্বে একই উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চাটেরা গ্রামের বাতির মিয়ার ছেলে কাতার প্রবাসী আবু সুফিয়ান এর সাথে বিবাহ হয়।
নিহত সায়রা বেগম এর স্বজনের দাবি বিবাহের পর থেকে তার সাথে শশুড়, ননদ দেবর সহ তাদের পরিবারের সকলে জ্বালাতন করে আসছে।
শশুড় বাড়ি থেকে ১১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় সায়রা ফোনে তার মা ও বোনের সাথে কথা বলে ।
এর ২ ঘন্টার পর ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পান তাদের মেয়ে সায়রা বেগম গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু বরন করেছেন ৷ বিষয়টি নিয়ে চাটেরা গ্রামে জনসম্মুখে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।
নিহত সায়রা বেগম এর ২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে নাম বাহরাম আহমদ। এছাড়া সে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো আগামী ২৭ ডিসেম্বর ডেলিভারী হওয়ার কথা ছিল।
সাগরনাল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আখলিছ মিয়া বলেন জায়ফরনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাকির মনির ফোন দিয়ে সায়রার মৃত্যুর খবর আমাকে দেন আমি মেয়ের আত্নীয় স্বজনকে বলি।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন এ বিষয়ে জুড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে সুরতহাীল রিপোর্ট আসলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে