দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং এই তরুণরাই আগামীতে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়বে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণত্রাণ’ কর্মসূচি। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনে অনলাইন ও অফলাইনে ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ১৭২ টাকা জমা পড়েছে তাদের ফান্ডে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এর পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
এই টাকা ছাড়াও শুক্রবার বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী সহায়তা পাওয়া যায়।
আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গণত্রাণ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লূৎফর রহমান তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লূৎফর রহমান বলেন, টিএসসিতে আজকের টোটাল কালেকশন ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ১৭২ টাকা। ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ হারবে না।
নগদ অর্থ সংগ্রহ বুথে থাকা একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, আমি কল্পনাও করিনি যে সর্বস্তরের মানুষ টিএসসির মতো জায়গার ওপর আস্থা রেখে, বিশ্বাস করে এত বেশি ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দেবেন। আমি মনে করি আগামীর বাংলাদেশ হবে একতাবদ্ধ বাংলাদেশ, যা পূর্বে ছিল না এবং সেটা গড়বে আজকের ছাত্র-জনতা। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েই দেশের সকল সমস্যা ও দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবে।
বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সংগ্রহে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীকে গতকাল বিরামহীন কাজ করতে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে ত্রাণের বহর খালি করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের তদারকি করতে দেখা যায়।
দিনভর বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী আসায় টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া ও গেমস রুম বিকেলেই পূর্ণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে টিএসসির বারান্দায় ত্রাণ সামগ্রী স্তুপ করে রাখা শুরু হয়। টিএসসির বারান্দাতেও ত্রাণ সামগ্রীর বিশাল স্তুপ লক্ষ্য করা যায়। স্বেচ্ছাসেবকরা মানব লাইন তৈরি করে টিএসসি গেট থেকে ভেতরে ত্রাণ পৌঁছে দেন।
সার্বিক বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি চলমান রেখেছি। সর্বসাধারণ তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সাহায্য করছেন। একজন রিকশাচালক, দিনমজুরও আমাদের সাহায্যের জন্য আসছেন আবার একজন উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য এসে আমাদের সাহায্য করছেন। এই বন্যায় দেশের মানুষ দেখিয়েছে যে তারা যেকোনো জাতীয় সমস্যা ঐক্যবদ্ধ হয়েই মোকাবেলা করবে।