আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য যশোর-৩ আসন ও জেমকন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী নাবিল আহমদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে প্রান্তিক চাষীদের জমি জোড় পূর্বক দখল করে চা বাগান করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় দরিদ্র জমি মালিকেরা বলছেন, জেমকন গ্রুপ ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে তাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে চা বাগান করে তাদের ভূমিহীন করেছে। আর কাজী টি এস্টেটের কর্মকর্তারা জমি মালিকদের দাবী অস্বীকার করে বলছেন, দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের সুযোগ নিয়ে একটি মহল বাড়তি সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি দরিদ্র জমি মালিকেরা তাদের জমি ফেরত পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, জেমকন গ্রুপ জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় কাজী টি এস্টেট নামে বড় চা বাগান করার জন্য স্থানীয় দরিদ্র নিরক্ষর মানুষদের সাথে প্রতারণা করে নামমাত্র মূল্যে কয়েকশ একর জমি কিনে নেয়। পরবর্তীতে কাজী টি এস্টেট নামের চা বাগানের ভেতরে থাকা জমি মালিকদের প্রায় ৩১ একর জমি না কিনেই অবৈধভাবে দখল করে তাতে চা বাগান করে।
জমি হারানো প্রান্তিক চাষীরা বলছেন, জেমকন গ্রুপ ও কাজী টি এস্টেটের মালিক কাজী নাবিল আহামেদ আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও তাদের জমি ফেরত না পেয়ে বরং মামলা ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। আর কাজী টি এস্টেটের কর্মকর্তারা বলছেন, বতর্মান পরিস্থিতিকে পূজি করে স্থানীয় কিছু ধুরন্দর মানুষ অনৈতিক সুবিধা নিতে অভিযোগসহ নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। আর তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব উভয় পক্ষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে উদ্বুদ্ধ সমস্যার সমাধান করা না হলে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।