সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় হত্যা চেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও খালেদা জিয়া সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হন। বেলা ১১টায় এই বিষয় শুনানি হবে। মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানান।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁজজনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী বলেন, এ মামলায় মাহমুদুর রহমানকে পলাতক দেখিয়ে তার অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় বিচারিক আদালত। আমরা আপিলের শর্তে তার জামিন চাইব।
তিনি আরও বলেন, সাজার মেয়াদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতের জামিন দেয়ার এখতিয়ার না থাকায়– তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে কারাগারে তাকে যেন ডিভিশন দেয়া হয় সেই আবেদনও করা হবে। মাহমুদুর রহমান প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় এক সময় উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে– আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেম আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এপর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।