অনেক রোগী একই সূচ পাঁচ থেকে ছয় বার ব্যবহার করেন। এটি সংক্রমণের সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে
যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করার জন্য নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে থাকেন। কিন্তু সবসময় অভিজ্ঞ হাতে বা হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না।
তাই অনেকেই বাসায় নিজেই মেশিন দিয়ে মেপে থাকেন। তবে কিছু দিকে সতর্ক থেকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হয়:
১) প্রতি বার ডায়াবেটিস মিটার ব্যবহার করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তার পর হাত মুছে রক্তের প্রথম ফোঁটাটি নিতে হবে। হাতে কিছু লেগে থাকলেই ফলাফল ভুল আসতে পারে।
২) অনেক রোগী একই সূচ পাঁচ থেকে ছয় বার ব্যবহার করেন। এটি সংক্রমণের সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩) যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হওয়াও দরকার। ভালমানের যন্ত্র কেনা, নির্দিষ্ট সময় পরপর তার পরিমাপের নির্ভুলতা পরীক্ষা করা, ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখা, প্রতি বার ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি ‘রিসেট’ করার বিষয়ে নজর দিতে হবে। খুব বেশি ঠান্ডা জায়গায় যন্ত্রটি রাখবেন না। সূর্যের তাপ যেন যন্ত্রের উপর না পড়ে সে দিকেও নজর রাখবেন।
৪) সূচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করলে যথেষ্ট ব্যথা হয়। অনেকেই আঙুলের একেবারে ডগায় সূচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেন। সে ক্ষেত্রে ব্যথা আরও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের এক পাশে পরীক্ষা করলে ব্যথা খানিকটা হলেও কম হয়। প্রতিদিন একই আঙুলে পরীক্ষা না করে বিভিন্ন আঙুলে পরীক্ষা করুন।
৫) প্রত্যেক দিনের ফলাফল এক জায়গায় লিখে রাখা খুব জরুরি। সেই তালিকা দেখেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, আপনার শরীরে ওষুধ কাজ করছে কি না। এ ছাড়া ঠিক কোন খাবার খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে, তাও জানতে পারবেন এই তালিকা থেকে।
৬) কেবল সকালে খালি পেটে কিংবা খাবার দুই ঘন্টা পরে রক্ত পরীক্ষা করলে চলবে না। দিনের বিভিন্ন সময়ে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কতখানি তা-ও জানা দরকার।