উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেবুন।
রোববার দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মোট ভোটের ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ গিয়েছে তার ঝুলিতে।
৭৮ বছর বয়সী তেব্বোউনে আলজেরিয়ার সেনাবাহিনীর সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রক্ষণশীল প্রার্থী আবদেল্লালি হাসানি শেরিফ এবং সমাজতন্ত্রের সমর্থক প্রার্থী ইউসেফ আজিজ। এরা দু’জন যথাক্রমে ৩ শতাংশ এবং ২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে রোববার রাজধানী আলজিয়ার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আলজেরিয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহামেদ শারফি।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আলজেরিয়ার মোট ভোটারসংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ। তার মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৫৭ লাখ ভোটার। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
আরজেরিয়ার রাজনীতি বিশ্লেষক ওসামা বিন জাভিদ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আলজেরিয়ার রাজনীতিতে সেনাবাহিনী প্রভাব বিস্তার করে আসছে এবং দেশের তরুণ প্রজন্ম এটি হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না। তাই প্রতিবাদ হিসেবে অনেকেই ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।”
২০১৯ সালে দেশের বেকারত্ব সমস্যার সমাধান, পেনশন এবং সরকারি উদ্যোগে আবাসন সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন আবদেলমাজিদ তেবুন। কিন্তু তার প্রথম মেয়াদে এসব সমস্যার দৃশ্যমান কোনো সমাধান হয়, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এছাড়া নিজের প্রথম মেয়াদে বেশ কিছু দমনমূলক নীতিও তিনি নিয়েছিলেন।
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকালে তেবুনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তবে তেবুন এসব প্রচারণাকে পাত্তা দেননি।
প্রসঙ্গত, ভৌগলিক আয়তনের হিসেবে আলজেরিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ। তবে জনসংখ্যার হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৪১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ আলজেরিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৪ কোটি ৬৭ লাখ।