বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী , নিখিল বিশ্বের মহান নেয়ামত রাহমাতুল্লিল আলামিনের ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ ই রবিউল আউয়াল শুভাগমন উপলক্ষে ভাদেশ্বর হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসায় মাহফিলে ঈদে মিলাদুন্নবী (স), মোবারক র্যালি শেষে প্রতিযোগিতার পুরুষ্কার বিতরণ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।
১৬ই সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ৯ ঘটিকায় মহানবী (স) -এর শানে রচিত কালজয়ী নানা কবিতার শ্নোক অঙ্কিত, নানা রঙের ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড র্যালিতে শোভাবর্ধন করে। র্যালিটি অত্র মাদ্রাসা থেকে ভাদেশ্বর মডেল ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা হয়ে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাদ্রাসায় গিয়ে মিলিত হয়।
হাফিজ মোঃ তুফায়েল আহমদের সঞ্চালনায়
পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র মাদ্রাসার দাখিল শাখার সুপারিন্টেনডেন্ট মাওলানা মোঃ আব্দুস সোবহান সাহেব।
উল্লেখ্য যে, সু – প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী ১৪০০ বছর আগে এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স) আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে পরলোক গমন করেন।।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে দ্বীন ইসলামের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স), প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির লালিত বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মহানবী (স) দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলামের বার্তা প্রচার করে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করে ৬৩ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।
সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিব বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (স)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। বিশ্ববাসীকে সততা, মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে ইসলাম কায়েম করেছিলেন ।
রাসুল (স) – কে ঘিরে হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) বলেছিলেন,
আপনার অস্তিত্বের আলোয় উভয় জাহান আলোকিত, হে মহান! আপনার জাহের ও বাতেন সবই নূর।’ (কাসিদায়ে গাউসুল আজম)
শেখ সাদী (রহ.) বলেছেন :
মানবতার শীর্ষে তুমি হলে উপনীত,
রূপের ছটায় দূর করলে আঁধার ছিল যত-
সকল গুণের সমাবেশে চরিত্রে মহান,
তুমি ও তোমার বংশ পরে হাজারো সালাম।
মোটকথা সকল লেখক, কবি-সাহিত্যিকই রাসূলের শানে কিছু না কিছু লিখতে চেষ্টা করেছেন। অধুনা বিশ্বে কলমের সাথে আমলের দিক থেকে রাসূলের আদর্শের রূপায়নই হবে সবচেয়ে বড় কাজ।
মোবারক র্যালি ও পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভাদেশ্বর হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রসার হিফজ শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাওলানা রজব আলী সাহেব, সহকারী শিক্ষক শিক্ষক হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাসিত সাহেব, হাফিজ ক্বারী সাহাব উদ্দিন সাহেব, সহকারী শিক্ষক হাফিজ মাওলানা আশরাফ হোসাইন খান সাহেব, হাফিজ মাওলানা শরীফ উদ্দিন সাহেব, হাফিজ মাওলানা সেলিম আহমদ সাহেব, হাফিজ ক্বারী আবু তাহের সাহেব হাফিজ ক্বারী শরফ উদ্দীন সাহেব, হাফিজ ক্বারী শাহনুর আহমদ, হাফিজ ক্বারী ফখরুল ইসলাম সাহেব, হাফিজ হাসান আহমদ সাহেব, হাফিজ নাজমুছ ছাকিব ছায়েম,হাফিজ নাহিদুর রহমার, হাফিজ ছাকিব আহমদ, হাফিজ কাওছার আহমদ, হাফিজ নাইম আহমদ, হাফিজ সাইফুল ইসলাম,হাফিজ ওলিউর রহমান ও সাবেক শিক্ষকবৃন্দ।
অত্র মাদ্রাসার দাখিল শাখার সহ,-সুপার হযরত মাওলানা গোলাম শাহ আলী সাহেব। সহকারী শিক্ষক মাওঃ আরিফুল ইসলাম,মাওঃ সালমান রশিদ তাপাদার,নাসিম উদ্দীন, অন্যান্য
ভাদেশ্বর মডেল ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, হযরত মাওলানা শুয়াইবুর রহমান সাহেব। আরবী প্রভাষক হযর্ত মাওলানা ইউনুছ আহমদ সাহেব। হযরত মাওলানা জাহিদ আহমদ সাহেব ও অন্যান্য
ভাদেশ্বর হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ভাদেশ্বর মডেল ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, ভাদেশ্বর আল হারামাইন তাহফিজুল কুরআন একাডেমি, শাহপরান আল কুরআন সেন্টার সিলেট এর সাবেক- বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ আরো অনেকেই।
পরিশেষে ভাদেশ্বর মোকামবাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব, হযরত মাওঃ রাকিব আল হেলালী সাহেবের দোয়ার মাধ্যমে র্যালি ও মাহফিলে মিলাদুন্নবী (স) অনুষ্ঠানের ইতি ঘটে।