রাজকীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর শপথ গ্রহণ করেন তিনি।
খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে নির্বাচিত করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পেতংতার্ন। শুভ্র সাদা সরকারি ইউনিফর্মে দিয়েছেন একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী শাখার প্রধান হিসেবে আমি অন্যান্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে খোলা মন নিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। আমি সবার মতামত শুনব, আমরা যেন একসঙ্গে স্থিতিশীলভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
গত শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী পদে জয় পান ৩৭ বছরের পেতংতার্ন। তিনি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে পায়েথুংথার্নের পক্ষে পড়ে ৩১৯টি ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৫টি।
এর আগে, বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। তার বিরুদ্ধে নৈতিকতা লংঘনের অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত একজন আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন স্রেথা।
পেতংতার্ন ২০২২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এর আগে তিনি পারিবারিক হোটেল ব্যবসা দেখভাল করতেন। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে তিনি দলীয় কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গত দুই দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন। এর আগে তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা (২০০১-২০০৬) ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা (২০১১-২০১৪) প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। অবশ্য দু’জনই সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।